আমি-
ভেজা মনে দেখেছো কখনো কি করে দাউদাউ করে আগুন লাগে?
ভেজা মনে দেখেছো কখনো কি করে দাউদাউ করে আগুন লাগে?
তুমি-
না তো, কি যে বল। এমন হয় বুঝি! আমি শরীর তো দূরের কথা, পা পর্যন্ত কোনদিনও বৃষ্টির জলেই ভিজিয়ে দেখি নি।
তাই আগুন যে ভেজা গায়ে লাগে- জানবো কি করে!
না তো, কি যে বল। এমন হয় বুঝি! আমি শরীর তো দূরের কথা, পা পর্যন্ত কোনদিনও বৃষ্টির জলেই ভিজিয়ে দেখি নি।
তাই আগুন যে ভেজা গায়ে লাগে- জানবো কি করে!
আমি-
কি বিপদ!
দেখোনি কারণ দেখতে চাওনি কখনো।
বুঝতে চাওনি, কি করে লেলিহান শিখা রক্ত সিক্ত শরীরে জ্বলে!
কি বিপদ!
দেখোনি কারণ দেখতে চাওনি কখনো।
বুঝতে চাওনি, কি করে লেলিহান শিখা রক্ত সিক্ত শরীরে জ্বলে!
তুমি-
উফঃ শুধু মার কাটের কথা,
রক্তের কথা- বিষাদ যন্ত্রণা।
উফঃ শুধু মার কাটের কথা,
রক্তের কথা- বিষাদ যন্ত্রণা।
আমি-
কি ভাল লাগে না, জানতাম।
তাই বুঝি; সবসময় পেলবতা আমার দুটি চোখে দেখতে চেয়েছিলে?
কি ঠিক বললাম তাই তো?
কি ভাল লাগে না, জানতাম।
তাই বুঝি; সবসময় পেলবতা আমার দুটি চোখে দেখতে চেয়েছিলে?
কি ঠিক বললাম তাই তো?
তুমি-
তা তুমি, যাই বল ঠিক। আর যা বেঠিক, তাও শুনতে ঠিক মনে হয়। আর তাই শেষ জীবনের পাতা ঝরা বসন্তে যখন ফুলের রঙিন শোভা নিয়ে-
আত্মার অংশের কথা, গল্প, কবিতা বলতে, বলতে;
এসে ছুঁয়ে দিলে- আমার বুক।
আমার মনে হল যেন অপেক্ষায় ছিলাম- একদিন পাবো এমন অলীক সুখ।
তা তুমি, যাই বল ঠিক। আর যা বেঠিক, তাও শুনতে ঠিক মনে হয়। আর তাই শেষ জীবনের পাতা ঝরা বসন্তে যখন ফুলের রঙিন শোভা নিয়ে-
আত্মার অংশের কথা, গল্প, কবিতা বলতে, বলতে;
এসে ছুঁয়ে দিলে- আমার বুক।
আমার মনে হল যেন অপেক্ষায় ছিলাম- একদিন পাবো এমন অলীক সুখ।
আমি-
আহাঃ খুব হয়েছে-
দুঃখবিলাসী তুমি,
সুখ দিয়ে কি করবে?
তোমার তো ওই একই কথা- চলে যাবো, দূরে কোথাও দূরে-দূরে।
আহাঃ খুব হয়েছে-
দুঃখবিলাসী তুমি,
সুখ দিয়ে কি করবে?
তোমার তো ওই একই কথা- চলে যাবো, দূরে কোথাও দূরে-দূরে।
তুমি-
তাই কি তুমি কল্পনার রঙে একা হাতেই নিজের শূন্য সিঁথি লাল করলে? তাই কি তুমি আমাকে ভরা শ্রাবণে ভাসিয়ে চলে গেলে।
তাই কি তুমি কল্পনার রঙে একা হাতেই নিজের শূন্য সিঁথি লাল করলে? তাই কি তুমি আমাকে ভরা শ্রাবণে ভাসিয়ে চলে গেলে।
আমি-
না- গো কি করে চলে যেতে পারি ব'ল! চলে যাওয়া যে তোমাকে মানায়। একবার আয়নায় দেখো নিজের চোখ দুটো, এখন যে ওখানেই ঘর বানিয়েছি।
রোজ তোমার গালে, ঠোঁটের পাশটা জড়িয়ে ঝড়ি।
না- গো কি করে চলে যেতে পারি ব'ল! চলে যাওয়া যে তোমাকে মানায়। একবার আয়নায় দেখো নিজের চোখ দুটো, এখন যে ওখানেই ঘর বানিয়েছি।
রোজ তোমার গালে, ঠোঁটের পাশটা জড়িয়ে ঝড়ি।
তুমি-
আর- আমি সেই আমি রয়ে গেছি জানো,সম্পূর্ণ একাকী!
সব হারিয়ে নিজের হাতে,
সেই জলেই নিজেকে দেখে দুঃখ পেয়ে চলেছি।
ঠিক জান তো তুমি-
আমি তো তোমার প্রতিচ্ছবি-
দুঃখবিলাসী।
আর- আমি সেই আমি রয়ে গেছি জানো,সম্পূর্ণ একাকী!
সব হারিয়ে নিজের হাতে,
সেই জলেই নিজেকে দেখে দুঃখ পেয়ে চলেছি।
ঠিক জান তো তুমি-
আমি তো তোমার প্রতিচ্ছবি-
দুঃখবিলাসী।
আমি-
আচ্ছা বলবে একটা কথা!
আমাদের মধ্যে কে হবে
শেষে জয়ী?
আচ্ছা বলবে একটা কথা!
আমাদের মধ্যে কে হবে
শেষে জয়ী?
তুমি-
জয়ী হবে শুধু সময়।
দুজনের মাঝে সে আছে, থাকবে নির্ভিক, অবিচল।
যার আদি নেই, অন্ত নেই- নেই কোন ভয়।
আমরা তো সময়ের হাতের পুতুল।
জয়ী হবে শুধু সময়।
দুজনের মাঝে সে আছে, থাকবে নির্ভিক, অবিচল।
যার আদি নেই, অন্ত নেই- নেই কোন ভয়।
আমরা তো সময়ের হাতের পুতুল।
জনান্তিকাকে জানিয়ে রাখা ভাল-
'তুমি' আলোর দেশের রাজপুত্র- আর 'আমি' জোছনা রাতের ঘুমহীন চোখের সহচরী; আর
'সে'- জানবেন পরিচয়?
সে হলো অন্তহীন অপেক্ষার বাহক,সময়।
'তুমি' আলোর দেশের রাজপুত্র- আর 'আমি' জোছনা রাতের ঘুমহীন চোখের সহচরী; আর
'সে'- জানবেন পরিচয়?
সে হলো অন্তহীন অপেক্ষার বাহক,সময়।
Comments
Post a Comment